আরপিএফকর্মীর মৃত্যু হল গাড়ির ধাক্কায়, চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশের গাড়ি ছিল বলে অভিযোগ
বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :-চিত্তরঞ্জন থানার অন্তর্গত চিত্তরঞ্জন থানার গাড়িতেই ধাক্কা লেগে মর্মান্তিক মৃত্যু হল চিত্তরঞ্জন রেল নগরীর এক রেল আরপিএফ হেড কনস্টেবল যার নাম বিশ্বজিৎ দাসের বয়স 52। জানাজায় যে চিত্তরঞ্জন রেলনগরীর ওই কর্মরত কনস্টেবল তার কাজ শেষ করে নিজের ব্যারাকে ফিরছিলেন ।আর সেইসময়েই গোল্ড মোহর রাস্তার চৌমাথায় চিত্তরঞ্জনের শ্রীলতা স্টেডিয়ামের কোনে ইয়ং এ্যথলেটিক ক্লাবের সামনে এই ঘটনা ।
তিনি নিজের স্কুটি নিয়ে ফিরছিলেন তখন উল্টোদিক থেকে চিত্তরঞ্জন থানার আধিকারিকের গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বলে অভিযোগ । সেই সময় গাড়িতে বসে ছিলেন থানার আধিকারিকের ।ঘটনাস্থলে পড়ে গিয়ে বিশ্বজিৎ বাবুর মাথায় গুরুতর আঘাত পায়।ঠিক তখনই চিত্তরঞ্জন থানার আধিকারিকের গাড়িথেকে নেমে বিশ্বজিৎ বাবুকে রক্তাত্ব অবস্থায় চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে নিয়ে যায় ।কিন্তু চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় চিত্তরঞ্জন থানা সহ সমস্ত আরপিএফ মহলের কর্মীরা শোকাহত । জানা গেছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জি.এম অফিস সংলগ্ন আরপিএফ টাউন পোস্টে হেড কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন বিশ্বজিৎ দাস।দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ছুটে যান আর.পি.এফ সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার এস.কে সিং রাঠোর, আসিস্টান্ট সিকিউরিটি কমিশনার কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী, এসিপি কুলটি সুকান্ত ব্যানার্জি, রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ রাহুল দেব মন্ডল,তাছাড়া ঘটনার সময় থেকে চিত্তরঞ্জন আইসি রাজু স্বর্ণকার ঘটনাস্থলে রয়েছেন। মৃত বিশ্বজিৎ বাবুর বাড়ি শ্যামনগরে ।ঘটনার খবর দেওয়া হয় পরিবারকে তবে পরিবারের কেউ না আসা পর্যন্ত দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়নি পরিবারের লোক এলেই পাঠানোর বন্দোবস্ত হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকেরা ।