আসানসোল জেলা হাসপাতালে বিশেষ ভাবে সক্ষমরা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে পেলেন শংসাপত্র
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল । ওরা ৫ জনই বিশেষ ভাবে সক্ষম । সকলেই লাউদোহার এলাকার বাসিন্দা । দুয়ারে সরকারের শিবিরে গিয়ে জানা না থাকায় নাম লেখাতে পারেনি ওরা। স্থানীয় নেতাদের কাছে সেই খবর পেয়েই এক বড় নেতার মারফত মুখ্যমন্ত্রীর কানে সে কথা পৌঁছুই।
কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুরে ওই পাঁচজনের আবেদনের কথা জানতে তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আনেন ও দেখতেও বলেন। এরা বিশেষ ভাবে সক্ষম শংসাপত্র পেলে তাহলে এরা মানবিক ভাতা পাবে।
শনিবার আসানসোল জেলা হাসপাতালে সারা জেলার সমস্ত ব্লক থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে হওয়া বিশেষ ভাবে সক্ষম শিবিরে দুয়ারে সরকারের নাম নথিভুক্ত করা বিশেষ ভাবে সক্ষমতা নিয়ে প্রায় শ দুয়েক মানুষ পৌঁছেছিলেন। আসানসোলের অতিরিক্ত জেলা শাসক সঞ্জয় পাল তিনি ওই পাঁচজনকে জেলা হাসপাতালে এদিন পাঠিয়ে দেন এবং বিষয়টি জেলা হাসপাতালে সুপারকে জানান।ঐ হাসপাতালে ডেপুটি সুপার কঙ্কন রায় বলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক সঞ্জয় পাল আমাদের বলেছেন এরা ৫ জনই দুর্গাপুরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছিলেন কয়েকদিন আগে। ওদের দুয়ারে সরকারের শিবিরে নামের তালিকায় নাম ছিল না ।আমরা জেলা প্রশাসনের নির্দেশেই আজ ৫ জনকে মেডিকেল বোর্ডে হাজির করে তাদের শংসাপত্র করেদেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরা হলো ফুলন হাজরা, মনোজ মুর্মু, সুখিতা বাউরী, পীযূষ টুডু ও চন্ডী রুইদাস ।
এরা প্রত্যেকেই মুখ্যমন্ত্রী এবং জেলা প্রশাসন ও হাসপাতালের ব্যবহারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। শুধু তাই নয় এদিন হাসপাতালে যে মেডিকেল বোর্ড বসে ছিল সেখান তাদের শংসাপত্র জন্য যেমন পরীক্ষা করা হয়েছে তেমনি প্রত্যেককে পানীয় জলের বোতল এবং টিফিন এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল হাসপাতালের তরফে। পীযূষ ,ফুলন রা বলেন আমরা আমাদের দিদির কাছে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।
অন্যদিকে বারাবনি বিধানসভার বারাবনি ব্লক থেকে ৪৮ জনের নাম দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে নথিভূক্ত হয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে শনিবারের মেডিকেল বোর্ডে এসে পৌঁছয়। এর মধ্যে মাত্র চারজন উপস্থিত হন বোর্ডে । বোর্ড শেষের মুখে শাহিদা খাতুন নামে এক মহিলা এসে পৌছন।
তিনি বলেন আমি কিছুই জানতাম না ।নিজের উদ্যোগে এসেছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মানবিক কারণে শেষ পর্যন্ত তারও মেডিকেল পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেন। ওই বোর্ডে কিন্তু জেলার অন্যান্য ব্লক থেকে প্রায় সকলেই আসলেও বারাবনি থেকে কেন মাত্র চারজন এলেন এই নিয়ে অবশ্যই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। কেননা এই ধরনের মেডিকেল বোর্ডের ৪৩ জন আসবে না জানলে হয়তো আরো বাইরে থেকে প্রকৃত প্রতিবন্ধীদের জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আনা যেত। এই বিষয়ে বারাবনির বিডিও সৌমিত্র প্রতীক প্রধান কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন বারাবনি থেকে ওদের খবর দেয়ার দায়িত্ব ছিল বি এম ও এইচের। এখানে আমাদের কিছু করার ছিল না। অন্যদিকে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মোঃ ইউনুস খান বলেন আমাকে এদিন বিকেলবেলা বি এম ও এইচ জানিয়েছেন মাত্র ৪/৫ জন গিয়েছে এবং ওদের গাড়িতে করে পাঠানোর দায়িত্ব ছিল বিডিও অফিসের। কিন্তু প্রকৃত কি ঘটেছে তা আমি অবশ্যই তদন্ত করব।এদিন সবচেয়ে বেশি ১০৪ জনকে সালানপুর ব্লক থেকে পাঠানো হয়েছিল।