ASANSOL

বার্ণপুরে ইস্কোর জমিতে তৃনমুল কংগ্রেসের পার্টি অফিস, ৫০০ র বেশি কোয়ার্টার দখল, অগ্নিমিত্রা পালের নিশানায় শাসক দল

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বার্ণপুরে ইস্কো বা আইএসপির জমিতে ১৫ টি তৃনমুল কংগ্রেসের পার্টি অফিস রয়েছে। এর পাশাপাশি বার্ণপুরে ইস্কো কারখানার ৫০০ রও বেশি কোয়ার্টার দখল করে রাখা হয়েছে। এর পেছনেও রয়েছে তৃনমুল কংগ্রেস। শনিবার সকালে আসানসোলের জিটি রোডের ইভলিং লজের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই দাবি করে, অভিযোগ তুলে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসকে নিশানা করলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।

তিনি এও দাবি করেন যে, ইস্কো কারখানা কতৃপক্ষ তাদের জমি ও কোয়ার্টার ফিরে পেতে ও দখলদার মুক্ত করতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলাশাসক ও আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারকে বারংবার চিঠি দিয়েছে। কিন্তু রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসন ইস্কোকে সহযোগিতা করেছে না। বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্য নেত্রীর এও দাবি, এইসব ইস্কো কারখানা কতৃপক্ষের যেসব আধিকারিক এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তৎপরতা দেখাচ্ছেন তাদেরকে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। অগ্নিমিত্রা পাল এদিন বলেন, ইস্কো একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা। তার জমি ও কোয়ার্টার দখল হয় কি করে? সংস্থা যে রাজ্যের মধ্যে রয়েছে, তা রক্ষা করার দায়িত্ব সেই রাজ্যের সরকারের। কেননা, আইন শৃঙ্খলা তাদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু বাংলায় এইসব হয়না। এখানে শাসক দলের নেতাদের মদতে এইসব চলে। আমার বিধান সভা কেন্দ্রে এইসব চলবে না। আমি গোটা বিষয়টি কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বা পিএমওতে জানাবো।


এদিন তিনি রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমন করে বলেন, বর্তমানে তৃনমুল কংগ্রেস ও দূর্নীতি সমার্থক শব্দ। এবার আর ডিকশনারিতে দূর্নীতি লেখা থাকবে না। তার বদলে তৃনমুল কংগ্রেস লেখা থাকবে। তৃণমূল কংগ্রেসের জমানায় নতুন নতুন পদ্ধতির দূর্নীতির কথা জানা যাচ্ছে।
এদিন, অগ্নিমিত্রা পাল ইস্কোর জমিতে পার্টি অফিস করা নিয়ে বার্ণপুরের দুই তৃনমুল কংগ্রেসের নেতার নাম করেন। তারমধ্যে অন্যতম হলেন আসানসোল পুরনিগমের ৭৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র। বিজেপি বিধায়কের দাবি ও অভিযোগের পাল্টা জবাবে তিনি বলেন, আসানসোলে অগ্নিমিত্রা পালের বিধায়ক কার্যালয় যে বিশাল বাংলায় আছে, সেটি কার? ইস্কো কারখানা কতৃপক্ষ তো তাকে সেটি সাজিয়ে দিয়েছে।

বিজেপি বিধায়ক নতুন রাজনীতিতে এসেছেন। শুধুই অভিযোগ করেন। কোন গঠনমুলক ভাবনা তার নেই। জমি ও কোয়ার্টার যদি বেআইনি ভাবে দখল হয়ে থাকে, তাহলে ইস্কো কতৃপক্ষ বসে আছে কেন? তিনি আরো বলেন, বিধায়ক যে অফিসগুলোর কথা বলেছেন সেগুলো বহু বছর ধরে আছে। ইস্কোই তো সেগুলো ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। আর বিজেপি বিধায়ক যেখানে খুশি অভিযোগ করতে পারেন।
রাজনীতির এই টানাপোড়েনের মাঝে ইস্কো কারখানা কতৃপক্ষ, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা কোন মন্তব্য করতে চাননি। তারা বলেন, আইন মতো সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে।

Leave a Reply