ASANSOL

দীনেশ গড়াইয়ের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ, চাঞ্চল্য

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায়: আসানসোলে আবারও শুট আউটের ঘটনা। এবার প্রকাশ্য দিবালোকে আসানসোলের ১৯ নং জাতীয় সড়কে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটলো। ব্যবসায়ী দীনেশ গড়াইয়ের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় মোটরবাইকে আসা একদল দূষ্কৃতি বলে অভিযোগ। ব্যবসায়ী অল্পের জন্যে প্রাণে বেঁচে যান। তবে একটি গুলি তার কালো ফরচুনার গাড়িতে লাগে। তাকে লক্ষ্য করে দূষ্কৃতিরা কমপক্ষে ৪ রাউন্ড গুলি চালায় বলে ব্যবসায়ীর অভিযোগ। সোমবার দুপুর একটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে আসানসোল উত্তর থানার কন্যাপুর ফাঁড়ির অন্তর্গত ১৯ নং জাতীয় সড়কে চন্দ্রচুড় মোড়ের কাছে একটি হোটেলের সামনে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পুলিশ ঘটনার অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে। যে গাড়িতে দূষ্কৃতিদের ছোঁড়া গুলি লাগে, সেই গাড়িটি পুলিশ আটক করেছে। সেই গাড়ির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গেছে। জমি সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় আসেন আসানসোল পুরনিগমের ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা আসানসোল উত্তর ব্লক তৃনমুল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অর্জুন মাঝি। তিনি বলেন, কেন এইভাবে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটলো তা পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। ঐ এলাকায় জোর করে জমি দখল করে নেওয়া হচ্ছে। মনে হচ্ছে এই জমি দখল করে নেওয়ার সঙ্গে গুলি চালানোর ঘটনার যোগ রয়েছে।


যে হোটেলের সামনে এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে তা সেখানে লাগানো সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। পুলিশ সেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে দূষ্কৃতিদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
জানা গেছে, ব্যবসায়ী দীনেশ গড়াই আসানসোল উত্তর থানার ১৯ নং জাতীয় সড়কের চন্দ্রচূড় মোড়ের কাছে একটি হোটেলে এদিন দুপুরে নিজের কালো ফরচুনার গাড়ি নিয়ে খাবার নিতে আসেন। তার সঙ্গে এক সঙ্গীও ছিলো। খাবার নিয়ে গাড়িতে উঠে ঐ ব্যবসায়ী যখন সামনে দিকে যাচ্ছিলেন তখন তার সামনে বেশ কয়েকটি মোটরবাইক আসে ও পথ আটকায়। কিন্তু চালক গাড়ি না থামানোয়, মোটরবাইকে আসা দূষ্কৃতিরা গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপরেও চালক গাড়ি না থামিয়ে এগিয়ে চলে যান।
জানা গেছে, ঐ ব্যবসায়ীর জমি কেনাবেচার কাজ করেন। কিন্তু তার দাবি, তিনি জমির ব্যবসা করেন না। তার জাতীয় সড়ক টোল ট্যাক্সের ব্যবসা আছে।
পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *