ASANSOL

আসানসোল জেলা হাসপাতাল চত্বরে নতুন ভবন তৈরিতে আপত্তি স্থানীয় বাসিন্দাদের, বন্ধ হয়ে যাবে যাতায়াতের রাস্তা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোল জেলা হাসপাতাল তৈরি হবে নতুন আরো একটি ভবন। নতুন এই ভবনে সিসিইউ বা ক্রিটিকাল কেয়ার ব্লক হবে। তার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর অনুমোদন দিয়েছে। বরাদ্দ হয়েছে অর্থও। রাজ্যের পূর্ত দপ্তর এই ভবন তৈরির প্রাথমিক কাজও শুরু করেছে।
কিন্তু এখন এই ভবন তৈরি নিয়ে একটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আসানসোল জেলা হাসপাতাল চত্বর বা মধ্যে দিয়ে একটি রাস্তা আছে। জেলা হাসপাতালের ঠিক পেছনে বা তার লাগোয়া আসানসোল পুরনিগমের অন্তর্গত ৮৫ নং ওয়ার্ডের সানভিউ পার্ক এলাকা রয়েছে। কিন্তু সেখানে আসানসোল জেলা হাসপাতালের নতুন ভবন তৈরি করা হলে সেই রাস্তাটিকে বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর তাতে সমস্যায় পড়তে পারেন ঐ এলাকায় বসবাসকারী প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষ। তাই ঐ এলাকার বাসিন্দারা ঐ ভবন তৈরিতে আপত্তি জানাচ্ছেন।


উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কল্যানী রায়কে সাথে নিয়ে জেলা হাসপাতাল সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাসকে এই ভবন তৈরি না করার কথা বলে একটি স্মারক লিপি দিয়েছিলেন। হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছ থেকে তারা কোন সদুত্তর না পেয়ে  আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন। তারা মেয়রকে দাবির কথা বলে একটি স্মারক লিপিও দেন।
তারই ভিত্তিতে বুধবার সকালে মেয়রের প্রতিনিধি হিসেবে এলাকায় আসেন আসানসোল পুরনিগমের আইনি উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন মেয়র পারিষদ রবিউল ইসলাম। তিনি এলাকার মানুষজনদের সাথে কথা বলেন। রাস্তাটি দেখেন। তিনি মানুষজনদেরকে এই বলে আশ্বাস দেন যে, এখনও পর্যন্ত পুরনিগমে হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ নতুন ভবনের জন্য কোন নকশা জমা দেয়নি। সুতরাং এখন আপাতত এই রাস্তা বন্ধ হচ্ছে না। তিনি পরে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এলাকার বাসিন্দারা হাসপাতালের নতুন ভবন তৈরি করা হলে, তাদের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।

এই রাস্তা বন্ধ হলে, তাদেরকে অনেকটা পথ ঘুরতে হবে। তাই তারা আসানসোল পুরনিগমের কাছে গোটা বিষয়টি দেখার আবেদন করেছেন। মেয়র এদিন আমাকে পাঠিয়ে গোটা বিষয়টি দেখতে বলেছেন। আমি তাকে সব রিপোর্ট দেবো।
যদিও হাসপাতাল কতৃপক্ষ আগেই জানিয়ে দিয়েছে, কয়েক লক্ষ মানুষের কথা ভেবে পৃথক একটি ভবন তৈরি করা তাতে সিসিইউ ব্লক করা হবে। তার সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এখন তাদের কিছু করার নেই।
এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, হাসপাতালের ভেতর দিয়ে বাইরের লোকেদের যাতায়াতের রাস্তা থাকতে পারেনা। এটা সরকারি সম্পত্তি। আর যেখানে মানুষদেরকে আরো ভালো স্বাস্থ্য পরিসেবা দিতে এই ভবন তৈরি করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *