আসানসোলে থানা ঘেরাও বিজেপির, টায়ার জ্বালিয়ে জিটি রোড অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে বিজেপির তরফে রাজ্যের বিভিন্ন থানার সামনে শুক্রবার ঘেরাও বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি পালন করা হয়।
এই কর্মসূচিতে এদিন বিকেলে আসানসোল দক্ষিণ থানা ঘেরাও করে, থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিপুল সংখ্যায় বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা। এর নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক অভিজিৎ রায়। তারা থানার গেটের সামনে ফাঁসির দড়ি দেখিয়ে এই ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসি দেওয়ার দাবিতে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তারা টায়ার জ্বালিয়ে থানার সামনে জিটি রোড অবরোধ করেন। এর ফলে জিটি রোডে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন সেখানে থাকা পুলিশ কর্মীরা জিটি রোডের অবরোধ তুলতে এগিয়ে আসে। বিজেপির নেতা ও কর্মীরা সরতে না চাওয়ায়, পুলিশ তাদের জোর করে সরাতে চায়। তখন পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিজেপির নেতা ও কর্মীদের ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। থানার সামনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছুক্ষনের চেষ্টায় পুলিশ বিজেপি নেতা ও কর্মীদের সরিয়ে দিয়ে জিটি রোডের অবরোধ তুলে দেয়।
এই প্রসঙ্গে জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায় বলেন, বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই বললেই চলে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবি করেন তিনি । এর সাথে তিনি অভিযোগ করেন যে গত ১৪ আগস্ট রাতে, যখন বিপুল সংখ্যায় মানুষ আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়ে, ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন। তখন তখন তৃনমুল কংগ্রেসের গুন্ডারা হাসপাতালে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করেছিলো। যাতে খুনের ঘটনার প্রমাণ না পাওয়া যায়। হামলাকারীদের সেদিন পুলিশ আটকায় নি। আর এখন যারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন, পুলিশ তাদেরকে আটকাচ্ছে।
এদিনের বিজেপির আন্দোলন ঘিরে যাতে বড় ধরনের কিছু না হয়, তার জন্য আসানসোল দক্ষিণ থানার সামনে পুলিশের পাশাপাশি কমব্যাট ফোর্সও ছিলো।