ASANSOL

আসানসোলে শ্রদ্ধার সঙ্গে বিদ্রোহী কবির প্রয়াণ দিবস পালন

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আসানসোলেে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার সভা কক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর।  এই অনুষ্ঠানে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবালাম, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যান কবি দত্ত সহ জেলার প্রশাসনিক আধিকারিক ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা সকলেই কাজি নজরুল ইসলামের পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।  পরে এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।


অনুষ্ঠানে জেলাশাসক এস পোন্নাবালাম ও আড্ডার চেয়ারম্যান কবি দত্ত স্বাধীনতা আন্দোলনে কাজী নজরুল ইসলামের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, কাজী নজরুল ইসলামের লেখা স্বাধীনতা প্রেমিকদের যেভাবে উজ্জীবিত করেছিল। তাদেরকে উৎসাহিত করেছিল ও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহস যুগিয়েছিলেন  তিনি যে সংগ্রামের চেতনা জাগিয়েছিলেন, তার কোনো নজির নেই। তারা বলেন, কাজি নজরুল ইসলাম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটা মূর্ত প্রতীক ছিলেন। তিনি এমন সব শ্যামা সঙ্গীত ও গান তৈরি করেছিলেন, যা আজও শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে গাওয়া হয়। আমাদের জন্য গর্বের বিষয় যে কাজী নজরুল ইসলাম পশ্চিম বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

আসানসোল পুরনিগমের উদ্যোগে কাজি নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস পালন

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে বৃহস্পতিবার পালন করলো আসানসোল পুরনিগম। এই উপলক্ষে এদিন আসানসোলের জিটি রোডের পুরনো রামকৃষ্ণ আশ্রম মোড এলাকায় কবির মূর্তির সামনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে আসানসোল পুরনিগমে চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, আইনী উপদেষ্টা প্রাক্তন মেয়র পারিষদ রবিউল ইসলাম, ওএস বীরেন অধিকারী সহ আসানসোল পুরনিগমের আধিকারিক ও কর্মীরা উপস্থিত থেকে কাজি নজরুল ইসলামের মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
চেয়ারম্যান বলেন, কাজি নজরুল ইসলাম শুধু বাংলা বা ভারতের নয়, তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় কবি ছিলেন। যখন স্বাধীনতার লড়াই চলছিলো , তখন তার লেখা কবিতায় তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলতেন। ধর্ম-বর্ণের সকল বৈষম্য দূর করার কথা তিনি বলেছিলেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কাজি নজরুল ইসলামের মতো মানুষের জীবন ও আদর্শ আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। প্রকৃত অর্থে তার লেখার মাধ্যমে তিনি হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণে সাহায্য করেছেন। তার লেখায় তিনি সর্বদা মানবতাকে সর্বোচ্চ বলে আখ্যায়িত করতেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *