পলিথিনের চালানে বাংলা থেকে ঝাড়খণ্ডে আলু নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, গ্রেফতার চালক ও খালাসি, আটক ট্রাক
সীমান্তে আটকালো বারাবনি থানার পুলিশ
বেঙ্গল মিরর, বারাবনি ও আসানসোল, মনোজ শর্মা ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পলিথিনের চালানে ট্রাকে বাংলা থেকে সীমান্ত পার করে ঝাড়খণ্ডে আলু নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। শুক্রবার রাতে বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্তে বারাবনি থানার রুনাকুড়াঘাটে আলু কারবারিদের এই বেআইনি পাচারের পরিকল্পনা ভেস্তে দিলো আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বারাবনি থানার পুলিশ। আলু বোঝাই ১২ চাকার ট্রাকটিকে আটক করার পাশাপাশি চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, অন্যদিনের মতো শুক্রবার রাতে বাংলা ঝাড়খন্ড সীমান্ত রুনাকুড়াঘাটে নাকা চেকিং করছিলো বারাবনি থানার পুলিশ। সেই সময় একটি ১২ চাকার ট্রাক বাংলা থেকে ঝাড়খন্ডের দিকে যাচ্ছিল। বারাবনি থানার পুলিশ সেই ট্রাক দাঁড় করিয়ে চালকের কাছ বৈধ কাগজপত্র দেখতে চায়। পুলিশ অফিসার চালকের কাছ থেকে কথা বলে জানতে চায় কি লোড, কোথায় যাচ্ছে? ড্রাইভার বলে ওঠে আলু লোড আছে। কিন্তু যে রোড চালান চালকের কাছ থেকে পুলিশ পায়, তাতে পরিষ্কারভাবে লেখা আছে পলিথিন। এরপরে পুলিশ ট্রাক সহ চালক ও খালাসিকে থানায় নিয়ে আসে। পরে চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার সকালে সকালে চালক ও খালাসিকে আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়।
অন্যদিকে, শুক্রবার রাতে অজয় নদীর বারাবনি থানার আমুলিয়া ঘাট থেকে একটি ট্রাক্টার করে বালি নিয়ে আসা হচ্ছিলো। সেই সময় বারাবনি থানার পুলিশের তা নজরে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ট্রাক্টরের চালক ও সঙ্গে একজন বসে থাকা দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। একইসাথে বালি বোঝাই ট্রাক্টরটিকেও আটক করে পুলিশ। শনিবার সকালে এই দুজনকেও
আসানসোল আদালতে তোলা হয় বারাবনি থানার পুলিশের তরফে।
প্রসঙ্গতঃ, দিন কয়েক আগেই বাংলার বিভিন্ন থানা এলাকায় বালি, কয়লার পাশাপাশি আলু পাচার নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তিনি কড়া নজরদারি চালানোরও নির্দেশ দেন। তারপরই নড়েচড়ে বসে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ।