ASANSOL

আসানসোলে কমিউনিটি হল বিতর্ক তৃণমূল কাউন্সিলরকে আক্রমণ, পুরনিগমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন বিজেপি নেতার

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* আসানসোলে কমিউনিটি হল জোর করে দখল করে রাখা নিয়ে আসানসোল পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমুল কাউন্সিলার সিকে রেশমাকে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি মঙ্গলবার বিকেলে বার্নপুর রোডে কোর্ট মোড় সংলগ্ন আসানসোল উত্তর বিধানসভা কার্যালয়ে হওয়া এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ইস্যুতে আসানসোল পুরনিগমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এই বিজেপি নেতা।প্রসঙ্গতঃ, আসানসোলের ২৩ নং ওয়ার্ডের শ্রীনগর এলাকার শগুন কমিউনিটি হলের হস্তান্তর নিয়ে সোমবার তৃণমূল কাউন্সিলর সিকে রেশমা এবং আসানসোল পুরনিগমের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ও লিগ্যাল এ্যাডভাইজারের মধ্যে তুমুল বাদানুবাদ হয়। আসানসোল পুরনিগমের টিম টেন্ডারের মাধ্যমে পাওয়া এই কমিউনিটি হলটি একটি বেসরকারি কোম্পানিকে হস্তান্তর যান। কিন্তু ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিকে রেশমা এই হস্তান্তরের বিরোধিতা করেন ও তা আটকে দেন। বাধা পেয়ে পুরনিগমের টিম ফিরে আসে।

এদিন, বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন বলেন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঐ কমিউনিটি হলে সোমবার যা ঘটেছে তা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে ঐ তৃণমূল কাউন্সিলর কিভাবে একটি বিশাল কেলেঙ্কারিতে জড়িত। সিকে রেশমা একজন কাউন্সিলর। তিনি টেন্ডারের মাধ্যমে কমিউনিটি হল নিয়ে তা চালাতে পারেন না। এটি গত ১০ বছর ধরে চলে আসা একটি অনিয়ম। তিনি এর পাশাপাশি মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক কমিউনিটি হলের টেন্ডার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি মেয়রের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করে জানতে চান যে মেয়র কেন ১০ বছর পরে হঠাৎ করে কমিউনিটি হলের জন্য টেন্ডার করলেন? এর পিছনে রহস্য কি ? তিনি অভিযোগ করেন যে বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার থেকে সংগৃহীত টাকা আসানসোলের তৃণমূল নেতাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

তিনি সিকে রেশমের বক্তব্যের প্রতি সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, কাউন্সিলর বলেছেন যে এই টেন্ডারের তদন্তের জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করতে হবে। এই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটিতে মন্ত্রী মলয় ঘটক, পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং আসানসোলের সাংসদ থাকবেন। এটি প্রমাণ করে যে মন্ত্রী এবং পশ্চিম বর্ধমান তৃণমূল জেলা সভাপতি সিকে রেশমার কার্যকলাপে জড়িত। তিনি বলেন, একদিকে কাউন্সিলর একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি দ্বারা তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন, অন্যদিকে মেয়র বলছেন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে। বিজেপি নেতা বলেন, এটা মূলতঃ মেয়র এবং মন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার লড়াই। এই এলাকার মানুষ এই দুই পক্ষের মধ্যে পিষ্ট হচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, ২০১২ সাল পর্যন্ত দরিদ্র মানুষের জন্য মাত্র ৫০০ টাকায় পাওয়া যেতো। কিন্তু কমিউনিটি সেন্টারগুলি এখন চড়া হারে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। তা ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এদিন এই বিজেপি নেতা মঙ্গলবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হওয়া এসআইআরের পক্ষে জোর সওয়াল করেন। তিনি বলেন, রাজ্যের শাসক দলের নেতা ও মন্ত্রীরা তো অনেক কথা বলছিলেন। কিন্তু কি হলো? নির্বাচন কমিশন তো তা বাংলায় চালু করে দেখালো। তিনি বলেন, আমরা স্বচ্ছ ভোটার তালিকা দিয়ে ২০২৬ র বিধানসভার নির্বাচন করা হোক।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *