জেলায় পিছিয়ে পড়া গ্রামকে চিহ্নিত করে উন্নয়নের সিদ্ধান্ত, এগিয়ে এসেছেন জেলার বণিকসভার প্রতিনিধিরা
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য : আসানসোল। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সব দিক থেকে পিছিয়ে পড়া বেশকিছু গ্রামকে চিহ্নিত করে তাদের উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা প্রশাসন। আর এক্ষেত্রে জেলাশাসক এর সাথে আলোচনা করে ঐ কাজ করতে এগিয়ে এসেছেন শিল্পাঞ্চলে বা জেলার বণিকসভার প্রতিনিধিরা। ইয়াসের দুর্যোগের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বণিকসভার প্রতিনিধিদের কাছে আলোচনার সময় অনুরোধ করেছিলেন ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামগুলিকে ভাগ করে নিয়ে একটি করে গ্রাম বণিকসভাগুলো উন্নয়নের অংশীদার হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন সাড়া দিয়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার বণিকসভার প্রতিনিধিরা। ওইদিনই জেলাশাসক বিভু গোয়েলের সাথে আলোচনার সময় বণিকসভা গুলি জেলাশাসক কে জানান তাদের জেলার সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া কিছু গ্রামের নাম দেয়া হোক সার্বিক উন্নয়নের জন্য। সেই গ্রামগুলিতে তারা সমস্ত ধরনের উন্নয়ন করবেন। কিন্তু সেখানে প্রশাসনিক কর্তাদের পাশে থাকতে হবে। জেলাশাসক বিষয়টি দেখার জন্য অতিরিক্ত জেলা শাসক( উন্নয়ন ) অভিজিৎ শেওয়ালে কে দায়িত্ব দেন।
ঐ অতিরিক্ত জেলা শাসক জানান আমাদের জেলায় আটটি ব্লক আছে। এই আটটি ব্লকের কাছ থেকে আমরা সরকারি যেসব প্যারামিটার আছে সেগুলি মেনে পিছিয়ে পড়া পাঁচটি করে গ্রামের নাম চেয়েছিলাম ।সব মিলিয়ে আটটি ব্লকের চল্লিশটি গ্রামের নাম আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। এবার আমরা বণিকসভার প্রতিনিধিদের নিয়ে শিগগিরই বৈঠক করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব এবং কি কি ধরনের উন্নয়ন করতে হবে তাও ওই আলোচনার মাধ্যমে উঠে আসবে। সালানপুর ব্লকের বিডিও অদিতি বসু জানান আমাদের ব্লক থেকে পাঁচটি নাম চাওয়া হয়েছিল। আমরা আমাদের নিজস্ব যেসব তথ্য গ্রামভিত্তিক ভাবে সংগ্রহ করা আছে তার ভিত্তিতে গ্রামের নামগুলি পাঠিয়েছি।এর মধ্যেমাধাইচক ,ধনুড়ি,রামডি,ডোমদহ,আমঝরিয়া আছে।
read also মদের দোকানে ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার ৭ দুষ্কৃতি, ১২ লক্ষ টাকার বিদেশি মদ উদ্ধার
ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি সুভাষ আগারওয়াল বলেন আমরা আগের জেলাশাসক এর কাছে এইরকম দুই একটি গ্রাম উন্নয়নের জন্য আমাদের বণিকসভার পক্ষ থেকে বলেছিলাম। বিশেষ করে যেখানে পানীয় জল থেকে শুরু করে রাস্তা, নর্দমা আরো কিছুর প্রয়োজন ছিল। এবার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর যেদিন এই বিষয়টিই বললেন সেই দিনই আমরা বর্তমান জেলাশাসক কে এ ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলাম এবং উনিও সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বলেছিলেন দ্রুত গ্রামের নাম নির্বাচন করে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। আমরা বলেছি আমাদের একাধিক গ্রামের নাম দিন। আমরা নিজেরা যে যে এলাকায় থাকি সেই এলাকায় উন্নয়ন করে নেওয়ার জন্য বেছে নেব।
read also নাসিক এর পর আসানসোলে ম্যাগনেট ম্যান!
আর এই কাজগুলো যখন করব তখন যেন প্রশাসনের কর্তারা স্থানীয় ভিত্তিতে আমাদের পাশেই থাকেন। পাশাপাশি জেলাশাসককে আরেকটি আবেদন করেছি তা হলো যেখানে প্রচুর খালি মাঠ পড়ে আছে সেখানে আমরা গাছ লাগিয়ে তিন বছর তা সংরক্ষন করে সরকারের হাতে তুলে দিতে চাই পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনে। সেই রকম জায়গা থাকলে আমাদের চিহ্নিত করে দেয়া হোক ।আমরা আশা করছি বর্তমান জেলা প্রশাসন গ্রাম উন্নয়ন থেকে গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে আমাদের কাজে লাগাবেন। আসানসোল চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক শম্ভু ঝা বলেন জেলাশাসক এর সাথে আলোচনা সভায় সেদিন আমরাও ছিলাম। যদি একটি করে পিছিয়ে পড়া গ্রাম একটি করে বণিকসভার উপর ছেড়ে দেয়া হয় তাহলেও আমাদের জেলায় অনেকগুলো গ্রাম সত্যিকারে ব্যাপক উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।