ASANSOL

আসানসোলে এসবিএসটিসি বাস টার্মিনাস লাগোয়া বেআইনি হোটেল ভাঙ্গলো পুরনিগম

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ১৮ নভেম্বরঃ আসানসোল পুরনিগমের বিভিন্ন এলাকায় এখন বেআইনি জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করা কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোল উত্তর থানার ২নং জাতীয় সড়কের জুবিলি মোড় সংলগ্ন একটি হোটেল ভেঙ্গে দেওয়া হয়।

 Asansol में  हटाया अतिक्रमण


দুদিন আগেই আসানসোল উত্তর থানা এলাকার ২ নং জাতীয় সড়কের জুবিলি মোড় সংলগ্ন এসবিএসটিসির নিবেদিতা বাস টার্মিনাসের বাইরে বেআইনিভাবে দখল করে তৈরী হওয়া ঐ হোটেলটি ভাঙতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুরনিগমের কর্মীদের। দুই আইনজীবী নিজেদের হাইকোর্টের আইনজীবী ও হোটেল মালিক তাদের মক্কেল দাবি করে সেদিন পুর কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেদিন বাধা পেয়ে হোটেল না ভেঙে ফিরে আসতে হয়েছিল পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ারকে। তাই বৃহস্পতিবার আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের টিম এলাকায় পৌঁছায় পুরনিগমের কর্মীরা। এদিন অবশ্য তাদেরকে কোন বাধার মুখে পড়তে হয় নি।


এই প্রসঙ্গে আসানসোল পুরনিগমের আইনি উপদেষ্টা সুদীপ্ত ঘটক বলেন, সাত দিন আগে হোটেল মালিককে এখান থেকে অবৈধ হোটেলটি সরাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পরও হোটেলটি সরানো না হলে পুরনিগমের কর্মীরা দিন দুই আগে হোটেলটি ভাঙ্গতে গিয়ে বাধা পান। এদিন তেমন কিছু অবশ্য হয়নি।


এই প্রসঙ্গে হোটেল মালিক সাধন পাল বলেন, ট্রেড লাইসেন্স, বিদ্যুৎ বিল সহ সব সরকারি কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও আমার হোটেলটি ভেঙে ফেলা হলো। কিন্তু আশেপাশে অবৈধভাবে নির্মিত স্থায়ী বাড়িগুলোর জন্য কিছুই করা হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, তার জন্যই কি পুর আইন? আমার মা ক্যান্সারে আক্রান্ত। এই দোকানই আমার একমাত্র ভরসা। এই হোটেল ভেঙ্গে দেওয়ায় মায়ের চিকিৎসাও করাতে পারবে না।
অন্যদিকে, এই হোটেল মালিকের আইনজীবী দেবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু আদালত থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসার আগেই দোকান ভেঙ্গে দিলো আসানসোল পুরনিগম।


আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুর এলাকার কোথাও কোন বেআইনী জবরদখল রাখতে দেওয়া হবে না। প্রথমে সরিয়ে নিতে বলা হবে।। নির্দেশ না মানলে আইন মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।