West Bengal

নির্দেশ না মানলে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা, পাঁচজন পর্যবেক্ষক করোনায় আক্রান্ত

বেঙ্গল মিরর, দীপ সেন : আসন্ন চার পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে জানা গেছে, ভোটের আগে পাঁচজন পর্যবেক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশন কোভিড বিধি সম্পর্কে একটি কড়া বার্তা দিয়েছে। খোলা মাঠে ৫০০ জনের পরিবর্তে ২০০ জনকে সভা করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে করোনা থেকে সুরক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশ লঙ্ঘনের জন্য প্রার্থীদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপক আইনে মামলা করারও ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে।

রাজ্য নির্বাচন কমিশন মোট ১৭ জন পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করেছিল। এর মধ্যে ৫ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক ও ১২ জন সাধারণ পর্যবেক্ষক ছিলেন। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ১২ জন সাধারণ পর্যবেক্ষকের মধ্যে পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত। তবে বৃহস্পতিবার থেকে তাদের কাজ শুরু করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছে কমিশন।
কঠোর কোভিড বিধি ও কোভিড নিয়মের বিষয়েও কমিশন তার অবস্থান কঠোর করতে চলেছে। কমিশন ইতিমধ্যে কোভিড বিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে। তবে নির্বাচনী সভায় ভিড় আরও কমানোর কথা ভাবছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। নির্দেশিকা অনুযায়ী, উন্মুক্ত মাঠে সভা করার জন্য কমিশন ৫০০ জনের অনুমোদন দিয়েছিল। সেই সংখ্যা আরও কমানোর নির্দেশ দেন। ওই দিনের বৈঠকে প্রশ্ন উঠেছে ওই সংখ্যা নিয়ে। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক দলগুলোকে ২০০ জনের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।

ঢোল বাজিয়ে প্রচার, রিপোর্ট চাইল কমিশন

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রার্থীরা নিয়ম মানছেন না। চার কর্পোরেশনে বেশ কিছু অভিযোগ সামনে এসেছে। সম্প্রতি আসানসোলে প্রার্থীরা ঢোল বাজিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন, সেই ছবিও সামনে এসেছে। ঘটনার বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছে কমিশন। শুধু তাই নয়, প্রার্থীরা কোভিড নিয়ম না মানলে দুর্যোগ আইনে মামলা নথিভুক্ত করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অনেক কোভিড নিয়মও পরিবর্তন করা হচ্ছে।

রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রাখুন

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়নি। কমিশনের মতে, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলার রিপোর্ট দেবেন কি না তা নির্ভর করবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন আছে কিনা। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে। ফলে কমিশন আপাতত রাজ্য পুলিশের ওপর নির্ভরশীল। বৃহস্পতিবার সুরক্ষা সংক্রান্ত বৈঠক করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং এডিজি আইন শৃঙ্খলা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply