ASANSOL

আসানসোল পুরনিগমের রিভিউ বৈঠক, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

গাড়ুই নদী থেকে গরমে পানীয়জল সরবরাহ সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোল, ৭ মার্চঃ আসানসোল পুরনিগমের ( Asansol Municipal Corporation ) নতুন বোর্ড গঠন হওয়ার পরে সোমবার দ্বিতীয় রিভিউ বৈঠক হলো। পুরনিগমের আলোচনা সভা হলে মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের ( Mayor Bidhan Upadhyay ) উপস্থিতিতে এদিন এই বৈঠক হয়। অন্যদের মধ্যে ছিলেন দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমুল হক, পুর চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, পুর কমিশনার নীতিন সিঙ্গানিয়া, পুর সচিব সহ ইঞ্জিনিয়ারি সহ বিভিন্ন দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা। ডাকা হয়েছিলো পুরনিগমের ১০টি বোরো অফিসের ইঞ্জিনিয়ারদেরও।


প্রায় তিন ঘন্টা ধরে চলা এদিনের বৈঠকে গাড়ুই নদী সংস্কার, পানীয়জল সরবরাহ, পুরনিগমের আয় বাড়ানো, হোর্ডিং, পার্কিং জোন, ট্রেড লাইসেন্স, সম্পত্তি কর সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বেশ কিছু ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকের পরে মেয়র বলেন, পুর বোর্ড গঠন হওয়ার পরে দিন কয়েক আগে প্রথম বৈঠক করা হয়েছিলো। সেই বৈঠকে বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করা হয়। তারই পর্যালোচনা করতে এদিন দ্বিতীয় রিভিউ বৈঠক করা হয়েছে। এই বৈঠকে ঠিক করা হয়েছে গাড়ুই নদী নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার একটি বৈঠক করা হবে। সেই বৈঠকে পুরনিগম ছাড়াও পুলিশ, সেচ দপ্তর, বিএলআরও সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে ডাকা হবে। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে গাড়ুই নদী পরিদর্শন করা হয়েছে। তারপর বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার কি ভাবে ঐ নদী সংস্কার ও বেআইনি দখলদারদের সরানো যায়, তার একটা রুপরেখা তৈরি করা হবে।


ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক বলেন, সামনেই গরম। সেই সময়ে পুর এলাকায় যাতে পানীয়জল সরবরাহ ঠিক থাকে, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গরমের আগেই পুর এলাকায় আরো ৫৩ হাজার বাড়িতে পানীয়জলের সংযোগ দেওয়া হবে। পুরনিগমের আয় কিভাবে আরো বাড়ানো যায়, তা নিয়ে এদিন আলোচনা করা হয়েছে। বকেয়া ট্রেড লাইসেন্স ফি ও সম্পত্তি কর আদায়ে জোর দেওয়া হবে। যাদের বকেয়া রয়েছে, তাদের কাছে নোটিশ পাঠানো হবে। হোর্ডিং ও পার্কিং জোন নিয়ে টেন্ডার করা হবে। এই ক্ষেত্রে যাদের বকেয়া রয়েছে, তাদের নামে এফআইআর করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


বৈঠক শেষে পুর কমিশনার বলেন, আসানসোল পুরনিগম এলাকায় আরো তিনটি পলি ক্লিনিক খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে আরো জোর দেওয়া হবে। সচেতনতা বাড়াতে প্রচার করা হবে। এছাড়াও পুরনিগমের বোরোর অধীনে যেসব পার্ক ও বাসস্ট্যান্ড আছে, সেগুলোর উন্নয়ন করা হবে। কি ভাবে তা করা হবে, তার একটা রিপোর্ট তৈরী করতে বোরো অফিসের ইঞ্জিনিয়ারদের বলা হয়েছে।

Leave a Reply