ASANSOL

আসানসোল রেলের বুলডোজার থামাতে দোকানদারদের বিক্ষোভ

রেলপাড় ব্যবসায়ী সমিতির পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দাবি

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় : আসানসোলের রেলপাড় এলাকায় ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোরের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিতে নির্মাণ ভেঙে ফেলতে আসা রেলওয়ে বুলডোজারকে দোকানদাররা থামিয়ে দেয়। বুধবার হঠাৎ করে রেলের বুলডোজার আসার কারণে ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রেলওয়ে ফ্রেট করিডোর নির্মাণের জন্য রেলপার এলাকায় জমি অধিগ্রহণ করেছে রেল। এ জন্য দোকানিদের সরানোর কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু রেলপাড় ব্যবসায়ী সমিতির ব্যানারে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলন করছেন প্রায় দুশো দোকানদার।

যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন না করা পর্যন্ত তারা এখান থেকে নড়বে না বলে জানিয়েছেন। এই ইস্যুতে এখানকার দোকানদারদের লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভও চলছে। বুধবার হঠাৎ করেই রেলওয়ের কয়েকজন কর্মচারী বুলডোজার নিয়ে সেখানে পৌঁছে দোকান ভাঙার অভিযান শুরু করে। রেলপাড় ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা তাদের এলাকায় বুলডোজার ঢুকতে দেখেন। তারা সবাই বুলডোজারের সামনে দাঁড়িয়ে শুয়ে পড়েন।তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনোভাবেই ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন ছাড়া দোকান ভাঙতে দেবেন না।

ঘটনার খবর পেয়ে আসানসোল পুরসভার চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোপা হালদারও ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনিও এসব দোকানদারদের সমর্থন করেন এবং গোপনে বুলডোজার পাঠিয়ে রেলওয়ের দোকান ভাঙার চেষ্টার বিরোধিতা করেন। রেলপাড় ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি আশীষ চ্যাটার্জি বলেন, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন ছাড়া তারা জায়গা থেকে সরবেন না। এ জন্য প্রাণ দিতে হলেও তার জন্যও তিনি প্রস্তুত।

তিনি বলেন যে রেলওয়ের বুলডোজারগুলি তাদের দোকানে পৌঁছানোর আগে তাদের উপর দিয়ে যেতে হবে। একই সময়ে, অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং গোপা হালদারও রেলের এই অভিযানের তীব্র নিন্দা করে বলেন যে কেউ রেলের উন্নয়নে বাধা হতে চায় না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারকেও এই দোকানদারদের কথা ভাবতে হবে। এসব দোকানের ওপর নির্ভর করে এসব মানুষ ও তাদের পরিবারের জীবিকা নির্ভর করেন।

Leave a Reply