আসানসোলে সংখ্যালঘু সংগঠনের প্রতিবাদ সভা, ওয়াকফ সংশোধিত আইনের বিরোধিতা, রাস্তা বন্ধ, চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ( Asansol Waqf Protest ) পশ্চিম বর্ধমান জেলা তাহাফুজ ওয়াকফ কমিটি তরফে বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোলের জিটি রোডের হটন রোড মোড় সংযোগস্থলে কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়াকফ সংশোধিত আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা হয় । এই সভায় আসানসোল এবং অন্যান্য জায়গার মুসলিম সংগঠনের নেতারা এসেছিলেন। যারা এই আইনের তীব্র বিরোধিতা করেন। তারা বলেন, ওয়াকফ সংশোধিত আইন তাদের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে। আমরা কখনই এই আইন মেনে নিতে পারবো না। কারণ এই আইনটি ভারতের সংবিধানেরও পরিপন্থী। তারা আরে বলেন যে ভারতের সংবিধানের পরিধির মধ্যে থেকে তারা গণতান্ত্রিকভাবে এই আইনের বিরোধিতা চালিয়ে যাবেন।




এদিকে, সংখ্যালঘু সংগঠনের এই সভার জন্য জিটি রোডের হটন রোড মোড় সংযোগস্থলে সিটি বাসস্ট্যান্ডের মেন গেটের সামনে চার্চের উল্টো দিকে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিলো। সকাল দশটা থেকে এই সভা শুরু হয়। তার অনেক আগে থেকেই গোটা এলাকা পুলিশের তরফে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। জিটি রোড হটন রোড মোড় থেকে স্টেশন রোডে যাওয়ার রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো সকাল দশটা থেকে। জিটি রোডে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা পুলিশের তরফে। এসবি গরাই রোড থেকে হটন রোড হয়ে জিটি রোডে যাওয়াও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিলো। মোড়ে মোড়ে ব্যারিকেড করে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এই সভা থেকে যাতে কোন রকম কোন সমস্যা তৈরি না হয়, তার জন্য হটন রোড মোড় সংলগ্ন এলাকায় বিরাট পুলিশ বাহিনী নামানো হয়েছিলো।
ছিলেন ডিসিপি, এসিপি ও ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার একাধিক অফিসার। বিভিন্ন থানার ওসি ও ফাঁড়ির ইনচার্জদের এই সভার জন্য নিয়ে আসা হয়। সভা শেষ করার কথা ছিলো দুপুর একটার সময়। কিন্তু সভা চলে প্রায় দুটো পর্যন্ত। বলতে গেলে, এই সভার জন্য এদিন ব্যস্ততম সময়ে রাস্তায় বেরিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
উদ্যোক্তাদের তরফে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। তবে, পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, সাধারণ মানুষের যাতে কোন সমস্যা না হয়, তারজন্য সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিলো।