ASANSOL

এক শিল্পে দলের শ্রমিক সংগঠনের একটাই শাখা থাকবে, সাফ জানালেন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি, দিলেন কড়া বার্তা

রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ৯ অক্টোবরঃ এক শিল্পে দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির একটাই শাখা থাকবে। কোন অনৈতিক কাজ করা যাবেনা। সংগঠনের নামে চাঁদা নেওয়া যাবে না। আর পদ ও চেয়ার পেয়ে গেলে বসে থাকলে হবেনা। কাজ করতে হবে। শনিবার চতুর্থীর দুপুরে এইসব জানিয়ে দলের শ্রমিক সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে এমনই কড়া বার্তা দিলেন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় ( Ritabrata Banerjee )


আসানসোলের সেনরেল রোডের আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার অতিথিশালায় এদিন দুপুরে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দলের বিভিন্ন শাখার জেলা নেতৃত্ব ও বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে রাজ্যের আইন ও পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটক ছাড়াও ছিলেন তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায়, আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা জেলা আরটিএ বোর্ডের সদস্য নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী মিনতি হাজরা।


পরে সাংবাদিক সম্মেলনে ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় বলেন, আসানসোল দূর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের পাশাপাশি বেশ কিছু জেলা থেকে দলের শ্রমিক সংগঠন নিয়ে আমার কাছে অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। বিশেষ করে দলের নামে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে। দূর্গাপুজোয় জোর করে চাঁদা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ জমা পড়েছে। এটা ঠিক নয়। দল এইসব কিছু বরদাস্ত করবেনা। আমি ৫ জুন আমি সংগঠনের রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পাই। তারপর ১৬ আগষ্ট জেলা সভাপতিরা নির্বাচিত হয়। এই সময়ের মধ্যে আমার কাছে অনেক অভিযোগ জমা পড়ে। বিশেষ করে কনট্রাকচুয়াল বা চুক্তি ভিত্তিক কর্মী নিয়োগ নিয়ে টাকা নেওয়া নিয়ে।

এদিন ঋতব্রত হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, আমি আগেও বলেছি। এখন আবার বলছি, একটা কারখানায় একটাই শাখা থাকবে। কে নেতা হবে সেটা বড় কথা নয়। কর্মীরা যাকে চাইবেন, সেই নেতা হবেন। দল বাইরে থেকে কোন নেতা চাপিয়ে দেবেনা। দলে থেকে কেউ কোন অনৈতিক কাজ করবেন না। আন্দোলনের নামে অনেকে কারখানার গেট জ্যাম করছেন। তা চলবে না। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আইএনটিটিইউসির জেলা ও ব্লক কমিটি তৈরী করা হবে। এরপর ১ নভেম্বর থেকে দলের তরফে একটি হেল্প লাইন ও ওয়াটস এ্যাপ নম্বর চালু করা হচ্ছে। তাতে যে কেউ, যে কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবেন। দলের কেউ এটা কন্ট্রোল করবে না। করবে থার্ড পার্টি বা তৃতীয় কোন ব্যক্তি।

কেউ পদ ও চেয়ার নিয়ে বসে থাকবেন, তা চলবে না। কাজ করতে হবে। কমিটি তিনমাস অন্তর রিভিউ বৈঠকে বসবে। দেখা যাকে যে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটা সে করেছে কিনা। একা সভাপতি সব কাজ করবেন। আর বাকিরা বসে থাকবেন, তা চলবে না। আমরা একটা ফাংশনাল স্ট্রাকচার করতে চাইছি। যেখানে সবাই একসঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করবে।

Leave a Reply