ASANSOL

রানীগঞ্জের বাঁশড়া এরিয়া হাসপাতালে লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ : হঠাৎ করে এই হাসপাতাল চত্বরে লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন বলতেই শুরু হল শুটিং। হাসপাতাল চত্বরে সাজো সাজো রব। চারিদিকে সেজে উঠছে সেই পুরনো স্মৃতিকে চাঙ্গা করার পরিস্থিতি, সেই গিলসাহেবের খনি কর্মীদের উদ্ধারের পর হাসপাতালে এসে খনি কর্মীদের সাথে সাক্ষাৎ বিনিময়, তাদের কুশল মঙ্গল জেনে নেওয়ার মুহূর্ত সবই ক্যামেরা বন্দী হচ্ছে। চোখের সামনে যেন পুরনো সব ছবি ফুটে উঠছে হাসপাতালের কর্মীদের কাছে। হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক ও অংশ নিয়েছিলেন শুটিংয়ে। পাশাপাশি স্থানীয় এলাকার বেশ কিছু শিল্পী অংশ নেয় এই শুটিংয়ে। হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে দেখা গেল পুরোনো দিনের দুটি টায়ার পাংচার হয়ে থাকা একটা অ্যাম্বুলেন্স কে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলেছেন শুটিংয়ের জন্য।

সেখানেই অক্ষয় কুমারের ডেমি সাজিয়ে হাসপাতাল চত্বরে রোগীদের নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে তাদের দেখভালের বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে এই শুটিংয়ে। যা কয়েক মুহূর্তের এই শুটিং এ, তুলে ধরেছেন এলাকা শিল্পী থেকে শুরু করে সেই শুটিং সেটের বেশ কিছু শিল্পীরা। যা দেখে একেবারে হতবাক নার্সেরা জানালেন প্রথমবার তারা এই ধরনের শুটিং দেখার সুযোগ পেলেন আর সেই সময়কালে গিল সাহেবের যে কর্মকাণ্ড তারা তারা শুনেছিলেন মাত্র সেই কর্মকাণ্ডকে আবার যেন এই শুটিং এর সেটে প্রত্যক্ষ করলেন তারা।

তাদের দাবি রানীগঞ্জের বাঁশড়া এরিয়া হাসপাতালকে সকলের সামনে তুলে ধরা হলো যা আমাদের ক্ষেত্রে অনেকটা গর্বের। সেসময়ের আরও বেশ কিছু কথা সম্পর্কের নানান বিষয় শুনেছেন বলেই জানান বন্দনা দে। সেখানেই তার এক সঙ্গী অমিতা চক্রবর্তী জানিয়েছেন সেই সময়ে উদ্ধারের পর বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল ওই সকল উদ্ধারকারী ক্ষণিক কর্মীদের জন্য তাদের এক মাস ধরে রাখা হয়েছিল হাসপাতালে সেই সময়কালে নতুন টিভি নিয়ে এসে লাগানো হয়েছিল হাসপাতালের মধ্যে আর তাদের এক মাস ধরে সেবা-সুসের উদ্যোগ নিয়েছিল চিকিৎসকেরা তা যেন এদিনের এই অল্প একটু সময়ের মোহনার মাঝে সমস্ত ফুটে উঠছে। দিল সাহেবের সেই উদ্ধারের কথা শ্রমিকদের এসে সঙ্গে নিয়ে আসা কম্বল ঢাকা দিয়ে তাদের হাসপাতালে রাখা সবগুলো যেন আবার ও ফুটে উঠছে সেই পুরনো স্মৃতির কথা থেকে।

Leave a Reply