ASANSOL

আসানসোলে বিজেপি যুব মোর্চার আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

সিভিক ভলেন্টিয়ারদের স্থায়ীকরণ ও সম কাজে সম বেতনের দাবি

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ সিভিক ভলেন্টিয়ারদের স্থায়ীকরণ, সম কাজে সম বেতন ও বেতন বৃদ্ধির দাবি নিয়ে বিজেপির যুব সংগঠন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে ধুন্ধুমার কান্ড হলো আসানসোল শহরে। আসানসোলের জিটি রোডের বিএনআরে রবীন্দ্র ভবনের সামনে বিজেপি যুব মোর্চার মিছিল আটকানোকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয় নেতা ও কর্মীদের মধ্যে। গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ২১ জন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা ও কর্মীকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। তার মধ্যে রয়েছেন যুব মোর্চার আসানসোল জেলা সভাপতি সন্তোষ মুখোপাধ্যায়। পরে তাদের গ্রেফতার করে আসানসোল পুলিশ লাইনে আসানসোল দক্ষিণ থানা পিপিতে রাখা হয়।


জানা গেছে, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের স্থায়ীকরণ ও সম কাজে সম বেতন ও বেতন বৃদ্ধির দাবি নিয়ে বুধবার সকাল থেকে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ ও স্মারক লিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিলো ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার আসানসোল জেলা কমিটির। সেইমতো জেলা সভাপতি সন্তোষ মুখোপাধ্যায় ও আসানসোল পুরনিগমের কাউন্সিলর ইন্দ্রাণী আচার্যের নেতৃত্বে আসানসোলের বি এন আর মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে বুধবার সকালে একটি মিছিল শুরু করা হচ্ছিল যুব মোর্চার সেই মিছিলটি বিএনআর আটকে দেয় পুলিশ। এই মিছিল যাতে কোন ভাবেই পুলিশ কমিশনারেট অফিসের দিকে যেতে না পারে, তারজন্য আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশের তরফে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছিলো। জারি করা হয়েছিলো ১৪৪ ধারা। মোতায়েন করা হয়েছিলো বিশাল পুলিশ বাহিনী। করা হয়েছিলো ব্যারিকেড। ছিলেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (,সেন্ট্রাল) কুলদীপ সোনেয়াল সহ অন্য পুলিশ অফিসাররা।


মিছিল আটকানোকে কেন্দ্র করে আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডুর সঙ্গে যুব মোর্চার নেতাদের তর্কবিতর্ক লেগে যায়। পুলিশের তরফে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়, ১০৪ ধারা রয়েছে। মিছিল করতে দেওয়া যাবে না। এরপরও বিজেপি যুব মোর্চার নেতা ও কর্মীরা মিছিল করে এগোতে চাইলে পুলিশ তাদের আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলে নেয়।
পুলিশের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ যুব মোর্চার জেলা সভাপতি বলেন, পুলিশ দলদাসে পরিনত হয়েছে। আমরা সিভিক ভলেন্টিয়ারদের স্থায়ীকরণ ও সম কাজে সম বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছিলাম। পুলিশ তা আটকে দেয়।

Leave a Reply