ASANSOL

আসানসোল কম্বল কাণ্ড : আটক আরো ৪ জন ? টুইটে পুলিশকে নিশানা জিতেন্দ্র তেওয়ারির

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* আসানসোল কম্বল কাণ্ডে আরো ৪ জনকে আটক করলো আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। শুক্রবার রাতে তাদেরকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়নি। আটক করা চারজনই রামকৃষ্ণ ডাঙালের বাসিন্দা ও তারা জিতেন্দ্র তেওয়ারির ঘনিষ্ঠ হিসাবে এলাকায় পরিচিত।
সরকারি ভাবে পুলিশের তরফে এই প্রসঙ্গে কিছু বলা না হলেও, আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অনেককেই এই ঘটনায় জেরা করা হয়েছে। তেমনিই এই চারজনকে জেরা করা হয়েছে।


আর এই চারজন আটক হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকালে একটি টুইটে করে পুলিশকে নিশানা করেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি। এই টুইটে তিনি লিখেছেন, লকডাউনের সময় আসানসোলের রেলপারের বাসিন্দাদের সেবা করা মানুষজনের সঙ্গে পুলিশ সন্ত্রাসবাদীদের মতো আচরণ করছে। লকডাউনের সময়, যে বিজেপি কর্মীরা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা করেছিলেন, কম্বল বিতরণের ঘটনার পর তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো বলেন, আসানসোলের মানুষ সবকিছু দেখছেন এবং উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত তারা এর জবাব দেবেন।


প্রসঙ্গতঃ, গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের রেলপার এলাকার রামকৃষ্ণ ডাঙালে শিব চর্চা ও মেগা কম্বল বিতরণ করার একটি অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানে সামান্য সময়ের জন্য এসেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি চলে যাওয়ার পরেই সেখানে কম্বল বিতরণ চলাকালীন হুড়োহুড়ির মধ্যে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। তাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে ১২ বছরের স্কুল ছাত্রীও ছিল।
মৃত ঝালি দেবী বাউরির ছেলে সুখেন বাউরির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ তিনটি ধারায় একটি এফআইআর করে। তার মধ্যে আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি, তার স্ত্রী বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি, আরো দুুুই বিজেপি কাউন্সিলর সহ মোট ১০ জনের নাম
নির্দিষ্ট করে এফআইআরে ছিলো। ঘটনার দুদিন পরে এফআইআরে নাম থাকা তিনজন সহ মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। দুদফায় পুলিশ হেফাজত শেষ হওয়ার পরে, আপাততঃ তারা আসানসোল জেলে রয়েছে। অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো নোটিশ দিয়ে বাড়িতে গিয়ে এই ঘটনা নিয়ে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ চৈতালি তেওয়ারিকে দুবার জেরাও করেছে।

Leave a Reply