চুরুলিয়ায় ৪৫ তম নজরুল মেলা বিতর্কের মধ্যে দিয়ে শুরু , বর্ণাঢ্য প্রভাতফেরি
বেঙ্গল মিরর, চুরুলিয়া , রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ বিতর্কের মধ্যে দিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুড়িয়ায় চুরুলিয়ায় সোমবার থেকে শুরু হলো ৪৫ তম নজরুল মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের ১২৬ তম জন্মজয়ন্তী পালনে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। উদ্যোক্তা আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়।
জানা গেছে, কবির জন্মভিটেতে এ বছরের ৪৫ তম নজরুল মেলা হবে আগামী সাতদিন ধরে। তবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত অর্থাৎ ৫ দিন ধরে।




এদিন সকালে কাজি নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী পালনের সূচনা হয় বর্ণাঢ্য প্রভাতফেরির মধ্যে দিয়ে। সেই প্রভাতফেরি গোটা চুরুলিয়া ঘোরে। তার পরে কবি মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয় কবি ও কবি পত্নীর স্মৃতি সৌধে। এই প্রসঙ্গে কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক তথা সেতু বন্ধন সংগ্রহশালার তত্ত্বাবধায়ক, মেলা কমিটির যুগ্ম সহসম্পাদক সপ্তর্ষি বন্দোপাধ্যায় বলেন, সাতদিন ধরে মেলা হবে। ৫ দিন হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতিদিন সন্ধ্যায় হবে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও তা চলবে রাত পর্যন্ত। যেখানে কলকাতার পাশাপাশি আসানসোল শিল্পাঞ্চল ও অন্য জেলার শিল্পীরা অংশ নেবেন। সবমিলিয়ে ২০০ জনের মতো শিল্পী অংশ নেওয়ার কথা। কলকাতা থেকে আসা নামী শিল্পীদের মধ্যে আছেন শ্রীরাধা বন্দোপাধ্যায়, রাঘব চট্টোপাধ্যায় সহ অনেকেই
হবে বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক আলোচনা সভা। তিনি আরো বলেন, এবারের মেলায় স্টলের সংখ্যা ৭০ টি। যার মধ্যে ১৮ টি সরকারি স্টল।
তবে, বিগত বছরগুলোর মতো এবছরেও মেলার আয়োজন নিয়ে প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছে বির্তক। এলাকার বাসিন্দা ও কবি পরিবারের কাউকে এই মেলার আয়োজনে তেমন ভাবে দেখা যায়নি।
এই প্রসঙ্গে কাজি আলি রেজা বলেন, আমরা জানি না কি করে মেলা হচ্ছে। কতদিন ধরে তা চলবে। আমাদের কাউকে এই ব্যাপারে কোন কিছু বলা হয়নি। কোন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই মেলা আসলে টাকা কামানোর জায়গা হয়েছে। ১২ লক্ষ টাকার মেলা। কিন্তু গরীবদের সেখানে কোন জায়গা নেই। যে কারণেই সবার মধ্যে একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
তবে, নজরুল মেলা নিয়ে বিতর্ক ও ক্ষোভের কোন জায়গা নেই বলে দাবি করেন অধ্যাপক সপ্তর্ষি বন্দোপাধ্যায়। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, পরিবার ও এলাকার বাসিন্দাদের সহযোগিতা না থাকলে এতো বড় আয়োজন করা যেতো? সবার সহায়তা আছে। কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শুধু অভিভাবকের ভূমিকা পালন করছে। এর বাইরে আর কিছু নয়।