কয়লা মাফিয়াদের সাথে রাজ্যের শাসকদলের যোগাযোগ : রাজু
কোর্ট মোড়ে “চায়ে পে চর্চা” অনুষ্ঠানে
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত :
হিন্দু – মুসলিম বিভাজনের রাজনীতি বিজেপি নয় তৃণমূল মুখ্যমন্ত্রীর মদতে করছেন। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলছেন “সবকা সাথ সবকা বিকাশ” আসানসোলের কোর্ট মোড়ে বুধবার সকালে “চায়ে পে চর্চা” অনুষ্ঠানে মন্তব্য করলেন বিজেপির রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষক এবং রাজ্যের সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
বস্তুত : পূর্বঘোষিত “চায়ে পে চর্চা” স্থানে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতির কে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বিজেপি রাজ্য এবং জেলা স্তরের নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা জড়ো হয়।
ওই অনুষ্ঠানে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি সর্বভারতীয় দল তাই তাদের কর্মীরা পশ্চিমবঙ্গে আসেন কিন্তু তাদেরকে বহিরাগত তকমা দেওয়া হয়। কিন্তু তৃণমূল ভিন রাজ্য থেকে অবাঙালি প্রশান্ত কিশোর কে ৪০০/৫০০ কোটি টাকা ভাড়া দিয়ে নিয়ে এসেছে। এছাড়া বাইরের দেশের রোহিঙ্গা অথবা বাংলাদেশী যাদের কার্যকলাপ আমাদের দেশের পক্ষে হানিকারক সেই মানুষদের আমাদের ট্যাক্সের টাকায় জামাই আদর করে রেখেছেন দিদি।”
আইন শৃঙ্খলা দেখার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের
প্রসঙ্গত এই দিন আসানসোল নর্থ বিধানসভা থেকে বেশকিছু সংখ্যালঘু মানুষ রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘরুইয়ের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করেন।গতকাল একটি সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি রূপেশ যাদব অভিযোগ বিজেপি সিআইএসএফ কে দিয়ে অবৈধভাবে কয়লা কারবার চালাচ্ছে। এই ব্যাপারে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন," এ ব্যাপারে সিবিআই তদন্ত করতে বলছেন না কেন ওনারা। সমস্ত কয়লা মাফিয়া দের সাথে রাজ্যের শাসকদলের ওতপ্রোতভাবে যোগাযোগ রয়েছে তার প্রমাণ আপনারা কিছু দিন পাবেন। আইন শৃঙ্খলা দেখার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। তাই রাজ্য সরকার এভাবে দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না। পুলিশ তৃণমূল এবং মাফিয়াদের যোগসাজশ রয়েছে এবং কয়লা বলি চুরির কারবার সবার মদতে হয়। আয়রন ওর বা লৌহ আকরিক এর ব্যাপারটিও রাজ্যের শাসকদলের লোকেরাই অবৈধভাবে চালায়।
বাঁকুড়ায় আদিবাসী পরিবারে অমিত শাহ বাসমতি চাল খেয়েছেন এবং বাইরের থেকে খাবার আমদানি করা হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো এমন মন্তব্যে প্রসঙ্গে তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন। এ ব্যাপারে তিনি বিনামূল্যে করোনার চিকিৎসা প্রসঙ্গ টেনে আনেন।তিনি বলেন, এখানে রাজ্যে একদিকে বলা হচ্ছে বিনামূল্যে করোনার চিকিৎসা চলছে অন্যদিকে মানুষ ১৪-১৫ লাখ টাকা হাসপাতালের বিল সবার সামনে দেখাচ্ছেন।
জেলার যুব সভাপতির বিরুদ্ধে ৩৬ জন মন্ডল সভাপতি মধ্যে ৩২ জন মন্ডল সভাপতি লেখা কেন্দ্র এবং রাজ্যের হাইকমান্ডকে একটি চিঠি প্রকাশ্যে এসেছিল। এ ব্যাপারে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন এটি তৃণমূলের কাজ তৃণমূল। বিজেপির মন্ডল সভাপতিরা এমন কাজ করে না। এটি তৃণমূল ফেক নিউজ করাচ্ছে।
এদিন চায় পে চর্চা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সাংগঠনিক সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুই, রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি, পবন সিং ও বিবেকানন্দ ভট্টাচার্য, জেলার জেনারেল সেক্রেটারি শিবরাম বর্মন এবং দিলীপ দে, যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক বাপ্পা চ্যাটার্জী, জেলা সহ-সভাপতি উপাসনা উপাধ্যায় ও অপূর্ব হাজরা,
আসানসোল নর্থ মন্ডল ২ এর সভাপতি সুদীপ গুহ রায়, মন্ডল ৩ এবং মন্ডল ১ এর সভাপতি সুদীপ চৌধুরী এবং বাপি সাহা, মন্ডল ৪ এর কনভেনার প্রমোদ বিশ্বকর্মা, এছাড়া সুব্রত মিশ্র প্রমুখ।