RANIGANJ-JAMURIA

কয়লাখনিতে বিস্ফোরণ কিভাবে ঘটছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের নেতৃত্ব

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল ও তারপরেই সিপিএমের নেতৃত্ব রানীগঞ্জের নারায়ণকুড়ি মাঝপাড়ার মধ্যে কয়লা খনির ছিটকে আসা পাথরে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয় নিয়ে সরব হওয়ার পর এবার দুর্ঘটনার চতুর্থ দিনে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিব দাসন দাশু, রানীগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলী কে সঙ্গে নিয়ে গ্রামীনদের দুঃখ দুর্দশা দেখতে এলেন। এলাকার মানুষজনেদের সঙ্গে কথা বলে তিনি তাদের অভাব অভিযোগ শুনে, কয়লা খনিতে বিস্ফোরণ কিভাবে ঘটছে তা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন।

এদিন তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, ওই কয়লা খনিটি চালু করার সময় সেটির থেকে কয়লা উৎপাদনের জন্য কোন বিস্ফোরণ ঘটানো হতো না, তবে পরবর্তীতে কোন এক অজ্ঞাত কারণে ওই কয়লা খনির কয়লা উত্তোলনের জন্য বিস্ফোরণ ঘটানো নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। যা নিয়ে বারংবার দুর্ভোগে পড়তে হয় সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী গ্রামীণদের। তারা এই বিস্ফোরণের জেরে বারংবার বাড়ি ঘরের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ তোলে, এমনকি মাত্রা অতিরিক্ত বিস্ফোরণ ঘটার জন্য বহুবার বাড়ি ঘরে পাথর আছড়ে পড়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। বেশ কয়েক দফায় এই সকল বিষয় নিয়ে কয়লা খনির আধিকারিকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও নানান বিষয় নিয়ে বারংবার কয়লা খনিতে আধিকারিকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতেও দেখা গেছে।

কিন্তু তারপরই বৃহস্পতিবার আরও একবার ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় কেঁপে ওঠে নারাণকুড়ি মাঝপাড়ার বেশকিছু ঘরবাড়ি। গ্রামীণদের অভিযোগ বিস্ফোরণ এতটাই জোরালো ছিল যে তাদের প্রায় এক হাজার মিটার দূরে থাকা বাড়িঘরে বড় বড় পাথরের চাঙ্গর আছড়ে পড়ে যার জেনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তারা। যদিও এ সকল বিষয় নিয়ে সেই বৃহস্পতিবারই গ্রামের একদল বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী কয়লা খনিতে গিয়ে ব্যাপকভাবে বিক্ষোভ দেখায় বেশ কিছু গাড়ি ও কয়লা খনির দপ্তরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন যন্ত্রাংশে ভাঙচুর চালায়। এই ঘটনার পরেই স্তব্ধ হয়ে থাকে গোটা এলাকা। যদিও এরপরই শনিবার ওই এলাকায় সকালেই গ্রামীণদের মাঝে পৌঁছন অগ্নিমিত্রা পাল। পরে শনিবার সন্ধ্যায় এলাকার সাধারণ মানুষদের কোন উচ্ছেদ করা চলবে না এই দাবি তুলে মিছিল মিটিং করে সিপিএম। এবার  ভি শিব দাশন দাশু ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই কয়লা খনিতে বিস্ফোরণ করার কোন কথা ছিল না বলে জানতে পারায় তিনি সকলকেই আশ্বস্ত করে জানান যদি কয়লা খনিতে এরূপ কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে তারা কর্তৃপক্ষ সঙ্গে কথা বলে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে তা বন্ধ করার দাবি করবেন। প্রয়োজনে আরো বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণেও পিছু পাবেন না বলেই দাবি তার।

Leave a Reply